এ আই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বর্তমান সময়ের সেরা প্রযুক্তি
বর্তমান সময়ের কিছু প্রযুক্তিগত আবিষ্কার আমাদেরকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে তার মধ্যে
এ আই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অন্যতম। বর্তমানে অনেক কাজে আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হচ্ছে । আসুন আজকে আমরা জেনে
নেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি,এটি কি কাজে ব্যবহার
করা হচ্ছে এবং এর কিছু সুবিধা এবং অসুবিধা।
কিছুদিন আগেও মানুষ যেটা কল্পনা করতে পারতো না সেটাই আজকে বাস্তবে রূপদান
করেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স । আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এক সময়
কাল্পনিক মনে হলেও আজ তা বাস্তব এবং স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছ ।
পোস্ট সূচিপত্র : এ আই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বর্তমান সময়ের সেরা
প্রযুক্তি
ভূমিকা
এ আই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কি ,এটা কি কাজে ব্যবহার করা হয়, কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় তা
আমরা অনেকেই জানিনা । তাই আমরা এই পোস্টটিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
এর ব্যবহার এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরার চেষ্টা করেছি । আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্ট সম্পর্কে জানতে আপনাকে পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে
। তাই মনোযোগ সহকারে আমাদের পোস্টটি পড়ুন ।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি
কোন মেশিন যখন মানুষের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দেখায় তখন তাকে আমরা
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বলতে পারি । অর্থাৎ কোন মেশিন যখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে
নিজে নিজেই কার্য সম্পন্ন করতে পারে তাকে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলবো ।
সেক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অনেক কাজ
স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজে নিজেই করতে পারে ।
আমরা তাকে কিছু জিজ্ঞেস করলে এটি আমাদের উত্তর দিতে পারে ,বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত
মুহূর্তের মধ্যে যোগাড় করে দিতে পারে । যুক্তি, সমস্যার সমাধান, মানুষের ভাষা
বোঝার ক্ষমতা , উপলব্ধি , শিক্ষণ ,পরিকল্পনা ,কোন বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তন
ঘটানো বা কোন বিষয় হস্তক্ষেপ করার সামর্থ্যসম্পন্ন মেশিনই আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স ।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক
আমেরিকান ম্যাথমেটিসিয়ান এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানী জন ম্যাকারথি ১৯৫৫ সালে
সর্বপ্রথম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ট্রাম্পটি ব্যবহার করেন । পরের বছর
অর্থাৎ ১৯৫৬ সালে নিউ হ্যাম্পশায়ারের হ্যানোভার শহরে ডার্ট মাউথ কলেজে অনুষ্ঠিত
এক একাডেমিক কনফারেন্সে তিনি তা প্রথম প্রকাশ করেন । এজন্য জন ম্যাকারথিকে
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর জনক বলা হয় ।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার
বর্তমানে অনেক কাজেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ব্যবহার করা হচ্ছে । এবং
দিন দিন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে বিশেষ করে উন্নত
দেশ গুলোতে এর ব্যবহার বিশেষ ভাবে লক্ষণীয় । অনেক ঝুঁকিপূর্ণ এবং জটিল সব তথ্য
বিশ্লেষণে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ব্যবহার করা হচ্ছে । অবাক করা তথ্য
হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বর্তমানে সাহিত্য ক্ষেত্রে অবদান রাখতে শুরু
করেছে ।
আরও পড়ুন : রোবট কিভাবে মানুষের জীবন সহজ করে
এ আই খুব সহজেই গান, কবিতা, উপন্যাস রচনা করতে পারে । বর্তমানে জাপানে কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তার পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে । অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের অর্থনৈতিক
বিষয়গুলো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে । বিজ্ঞানীরা
ধারণা করছেন ২০৪৯ সালের মধ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা লিখিত বই সবচেয়ে
বেশি বিক্রি হবে ।
আশ্চর্যের বিষয় হল ইতোমধ্যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা লিখিত উপন্যাস
গুলো সাহিত্যে পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হয়েছে । অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক
দল গবেষক দাবি করেছেন আগামী ১২০ বছরের মধ্যে মানুষের প্রায় কাজ-ই কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা দ্বারা সম্পন্ন হবে ।
এ আই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কিছু সুবিধা
- এ আই প্রযক্তি অত্যান্ত নির্ভুলভাবে কাজ করতে পারে ,কখনো ভুল করে না
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্রুত সিদ্ধান্তগ্রহণে সহায়তা করে
- এ আই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স টানা কাজ করতে পারে , এটি কখনো ক্লান্ত হয় না
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করতে পারে
- স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজের পুনরাবৃত্তি করতে পারে
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কিছু অসুবিধা
- এআই প্রযুক্তি অত্যন্ত ব্যয়বহুল
- এই প্রযুক্তিতে সৃজনশীলতার অভাব রয়েছে
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর কোন আবেগ অনুভূতি নেই
- এ আই প্রযুক্তি মানুষকে অলস বানিয়ে দিচ্ছে
- আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ কমিয়ে দিচ্ছে
শেষ কথা
সবশেষে আমরা বলতে পারি যে , এ আই প্রযুক্তি বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স
আমাদের অনেক ক্ষেত্রে সহযোগি হতে পারে । আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে
কল কারখানা , গবেষণা এবং অনেক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ যেখানে মানুষের কাজ করা
দুঃসাধ্য সেখানে আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কে ব্যবহার করতে পারি ।
সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফরাম এর মতে এ আই
কারণে বিশ্বের প্রায় সাড়ে চার কোটি লোক চাকরি হারাবে।
তবে আশার কথা হচ্ছে অপর একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে আর্টিফিশিয়াল
ইন্টেলিজেন্স দ্বারা মানুষের কর্মসংস্থান কমে গেলেও অনেক ক্ষেত্রে নতুন
নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ার ও সম্ভাবনা রয়েছে ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url